আলসী পিঠে
উপকরনঃ
চালের গুরো ২ কাপ,ডিম ৪ টি(ফেটানো),নারকেল ১ কাপ(কুরানো),চিনি ১কাপ ,গুরো দুধ ৩/৪ কাপ,এলাচ গুরো হাফ চা চামচ,জল ১ কাপ,কিসমিস ও পেস্তা সাজানোর জন্যে,ঘি১ টেবিল চামচ পাত্রে মাখানোর জন্যে।
প্রনালিঃ
একটি পাত্র মাঝারি আঁচে গরম করে তাতে চালের গুরো ২-৩মিনিট ভেজে নিয়ে আর একটি পাত্রে ঢেলে নিন।
কিসমিস, পেস্তা এবং ঘি বাদে বাকি সব উপকরন দিয়ে ভাল করে মেশান।
একটি বেকিং পাত্রের গায়ে ১ টেবিল চামচ ঘি মেখে নিয়ে তাতে মিশ্রন টি ঢালুন এবং ২০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপে ১ ঘন্টা বেক করুন।(সব ওভেনের তাপ একই হয়না তাই পিঠা হয়েছে কিনা বুঝতে একটি ছুরির মাথা ঢুকান এবং বের করুন। যদি ছুরিতে কিছু লেগে না থাকে বুঝতে হবে পিঠা হয়ে গেছে আর যদি তা না হয় তাহলে আর ৫-১০ মিনিট বেক করে আবার চেক করুন।
পিঠা হয়ে গেলে নামিয়ে ইচ্ছেমত আকারে কেটে পেশ্তা ও কিসমিস ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
উপকরনঃ
চালের গুরো ২ কাপ,ডিম ৪ টি(ফেটানো),নারকেল ১ কাপ(কুরানো),চিনি ১কাপ ,গুরো দুধ ৩/৪ কাপ,এলাচ গুরো হাফ চা চামচ,জল ১ কাপ,কিসমিস ও পেস্তা সাজানোর জন্যে,ঘি১ টেবিল চামচ পাত্রে মাখানোর জন্যে।
প্রনালিঃ
একটি পাত্র মাঝারি আঁচে গরম করে তাতে চালের গুরো ২-৩মিনিট ভেজে নিয়ে আর একটি পাত্রে ঢেলে নিন।
কিসমিস, পেস্তা এবং ঘি বাদে বাকি সব উপকরন দিয়ে ভাল করে মেশান।
একটি বেকিং পাত্রের গায়ে ১ টেবিল চামচ ঘি মেখে নিয়ে তাতে মিশ্রন টি ঢালুন এবং ২০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপে ১ ঘন্টা বেক করুন।(সব ওভেনের তাপ একই হয়না তাই পিঠা হয়েছে কিনা বুঝতে একটি ছুরির মাথা ঢুকান এবং বের করুন। যদি ছুরিতে কিছু লেগে না থাকে বুঝতে হবে পিঠা হয়ে গেছে আর যদি তা না হয় তাহলে আর ৫-১০ মিনিট বেক করে আবার চেক করুন।
পিঠা হয়ে গেলে নামিয়ে ইচ্ছেমত আকারে কেটে পেশ্তা ও কিসমিস ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
সিমুই এর পায়েস
উপকরণ:
দুধ ১ কেজি,চিনি আধ কাপ,সিমুই ১ কাপ,নারকেল কোরানো হাফ কাপ,ঘি (ভাজার জন্য) সামান্য,কিসমিস ২ চা চামচ,খোয়া ক্ষীর (গুঁড়ো করা) ১ টেবিল চামচ,
প্রণালী:
সিমুই সামান্য ঘি দিয়ে ভেজে নিন।একটি পাত্রে দুধ জ্বাল দিন।দুধ একটু গরম হয়ে এলে তাতে চিনি দিন।দুধ ঘন হয়ে অর্ধেক হয়ে গেলে সিমুই ও নারিকেল দিয়ে দিন।৭/৮ মিনিট রান্না করুন।এরপর নামিয়ে ঠান্ডা করুন।ঠান্ডা হলে সার্ভিং ডিসে ঢেলে কিসমিস ও গুড়ো করা খোয়া ক্ষীর ছড়িয়ে পরিবেশন করুন সিমুই এর পায়েস।
উপকরণ:
দুধ ১ কেজি,চিনি আধ কাপ,সিমুই ১ কাপ,নারকেল কোরানো হাফ কাপ,ঘি (ভাজার জন্য) সামান্য,কিসমিস ২ চা চামচ,খোয়া ক্ষীর (গুঁড়ো করা) ১ টেবিল চামচ,
প্রণালী:
সিমুই সামান্য ঘি দিয়ে ভেজে নিন।একটি পাত্রে দুধ জ্বাল দিন।দুধ একটু গরম হয়ে এলে তাতে চিনি দিন।দুধ ঘন হয়ে অর্ধেক হয়ে গেলে সিমুই ও নারিকেল দিয়ে দিন।৭/৮ মিনিট রান্না করুন।এরপর নামিয়ে ঠান্ডা করুন।ঠান্ডা হলে সার্ভিং ডিসে ঢেলে কিসমিস ও গুড়ো করা খোয়া ক্ষীর ছড়িয়ে পরিবেশন করুন সিমুই এর পায়েস।
তালের বড়া
উপকরন-
তালের গোলা ১ কাপ,ময়দা দেড় কাপ,নারকেল কোরা অর্ধেক কাপ,চিনি প্রয়োজন মতো,দুধ ১/২ কাপ।
প্রণালী-
পাত্রে তালের গোলার সঙ্গে ময়দা, চিনি, নারকেল কোড়া একসাথে মিশিয়ে নিন, মিশ্রন খুব ঘন বা খুব পাতলা হবে না।
এবার পাত্রে তেল দিন গরম হলে বড়ার আকারে তালের গোলা কড়াইতে দিন বড়াগুলো সোনালি রঙে ভেজে তুলুন।
এবার গরম গরম পরিবেশন করুন তালের বড়া
উপকরন-
তালের গোলা ১ কাপ,ময়দা দেড় কাপ,নারকেল কোরা অর্ধেক কাপ,চিনি প্রয়োজন মতো,দুধ ১/২ কাপ।
প্রণালী-
পাত্রে তালের গোলার সঙ্গে ময়দা, চিনি, নারকেল কোড়া একসাথে মিশিয়ে নিন, মিশ্রন খুব ঘন বা খুব পাতলা হবে না।
এবার পাত্রে তেল দিন গরম হলে বড়ার আকারে তালের গোলা কড়াইতে দিন বড়াগুলো সোনালি রঙে ভেজে তুলুন।
এবার গরম গরম পরিবেশন করুন তালের বড়া
গাজরের স্পেশাল পায়েস
উপকরণ:
দুধ ১লিটার,গাজর কুচি ২ কাপ,গুরো দুধ আধ কাপ,দারচিনি ১টা,এলাচ ২টা,চিনি পরিমানমত,আতপ চাল জলে ভিজানো ১ মুঠ ,কিসমিস ৮/৯ টি ,বাদাম কাজু/ পাশ্তা কুচি এক মুঠ সাজানোর জন্য,সয়াবিন তেল/ ঘি পরিমানমত।
প্রণালী:
একটি কড়াইতে গরম তেল/ঘিতে দারচিনি, এলাচ, হালকা ভেজে নিন।এবার কড়াইয়ে তরল দুধ, গুরো দুধ ও আতপ চাল মিশিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন।চাল সেদ্ধ হয়ে আসলে গরম দুধে চিনি ও গাজরকুচি ঢেলে দিন ও নাড়তে থাকুন।দুধ কমে অর্ধেক হয়ে যাওয়া পর্যন্ত অল্প আঁচে জ্বাল দিতে থাকুন।গাজরের পায়েস চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করুন।গাজরের পায়েস ঠান্ডা হলে বাটিতে ঢেলে উপরে কিসমিস ও বাদাম দিয়ে সাজিয়ে দিন।খাবারের পর ডেসার্ট হিসেবে কিংবা বিকেলের নাস্তায় পরিবেশন করুন মজাদার গাজরের পায়েস।
উপকরণ:
দুধ ১লিটার,গাজর কুচি ২ কাপ,গুরো দুধ আধ কাপ,দারচিনি ১টা,এলাচ ২টা,চিনি পরিমানমত,আতপ চাল জলে ভিজানো ১ মুঠ ,কিসমিস ৮/৯ টি ,বাদাম কাজু/ পাশ্তা কুচি এক মুঠ সাজানোর জন্য,সয়াবিন তেল/ ঘি পরিমানমত।
প্রণালী:
একটি কড়াইতে গরম তেল/ঘিতে দারচিনি, এলাচ, হালকা ভেজে নিন।এবার কড়াইয়ে তরল দুধ, গুরো দুধ ও আতপ চাল মিশিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন।চাল সেদ্ধ হয়ে আসলে গরম দুধে চিনি ও গাজরকুচি ঢেলে দিন ও নাড়তে থাকুন।দুধ কমে অর্ধেক হয়ে যাওয়া পর্যন্ত অল্প আঁচে জ্বাল দিতে থাকুন।গাজরের পায়েস চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করুন।গাজরের পায়েস ঠান্ডা হলে বাটিতে ঢেলে উপরে কিসমিস ও বাদাম দিয়ে সাজিয়ে দিন।খাবারের পর ডেসার্ট হিসেবে কিংবা বিকেলের নাস্তায় পরিবেশন করুন মজাদার গাজরের পায়েস।
খাজা
উপকরণঃ
ময়দা ২ কাপ,লবণ হাফের হাফ চা চামচ,তেল ২ টেবিল চামচ ও ভাজার জন্য,জল আধ কাপ,রোস্ট করা সাদা তিল ২ টেবিল চামচ।
শিরার জন্য- চিনি ২ কাপ,জল ১ কাপ,গোলাপজল ২ চা-চামচ,জাফরান হাফের হাফ চা চামচ (গোলাপজলে ভিজিয়ে রাখুন)।
প্রণালিঃ
চিনির সঙ্গে জল মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে ঘন শিরা তৈরি করে ছেঁকে নিয়ে গোলাপজলে মেশানো জাফরান দিয়ে নেড়ে রাখুন।ময়দার সঙ্গে লবণ মিশিয়ে তেলের ময়ান দিন। জল মিশিয়ে ময়দা ভালো করে মেখে নিন।২৪টি ভাগ করুন। প্রতিটি ভাগ হাতের তালুতে নিয়ে গোল ও মসৃণ করে চ্যাপ্টা করে রাখুন। ঘণ্টা খানেক ঢেকে রেখে দিন।এরপর রুটি বেলার পিঁড়িতে বা টেবিলে লুচির মতো বেলুন। চারপাশ থেকে ১ সেন্টিমিটার ছেড়ে ছুরি দিয়ে ৫-৬টি লম্বা দাগ কাটুন। এবার সাবধানে হালকাভাবে একধার থেকে সামান্য ভাঁজ করে মাঝখানে এনে একইভাবে অপর প্রান্ত থেকে সামান্য ভাঁজ করে মাঝখানে আরেকটি অংশ আনুন। দুটি অংশ হাত দিয়ে চেপে দিন। বেলুনির হাতলের মতো দুটি হাতল হবে। দেখতে অনেকটা চকলেটের মতো লাগবে।কড়াইয়ে তেল গরম করে হাতল ধরে গরম ডুবো তেলে ছাড়ুন। আঁচ কমিয়ে সোনালি রং করে ভেজে তেল ছেঁকে উঠিয়ে সরাসরি শিরায় ছাড়ুন। মিনিট খানেক শিরায় ডুবিয়ে রেখে প্লেটে সাজিয়ে ওপর থেকে সাদা তিল ছিটিয়ে দিন।
উপকরণঃ
ময়দা ২ কাপ,লবণ হাফের হাফ চা চামচ,তেল ২ টেবিল চামচ ও ভাজার জন্য,জল আধ কাপ,রোস্ট করা সাদা তিল ২ টেবিল চামচ।
শিরার জন্য- চিনি ২ কাপ,জল ১ কাপ,গোলাপজল ২ চা-চামচ,জাফরান হাফের হাফ চা চামচ (গোলাপজলে ভিজিয়ে রাখুন)।
প্রণালিঃ
চিনির সঙ্গে জল মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে ঘন শিরা তৈরি করে ছেঁকে নিয়ে গোলাপজলে মেশানো জাফরান দিয়ে নেড়ে রাখুন।ময়দার সঙ্গে লবণ মিশিয়ে তেলের ময়ান দিন। জল মিশিয়ে ময়দা ভালো করে মেখে নিন।২৪টি ভাগ করুন। প্রতিটি ভাগ হাতের তালুতে নিয়ে গোল ও মসৃণ করে চ্যাপ্টা করে রাখুন। ঘণ্টা খানেক ঢেকে রেখে দিন।এরপর রুটি বেলার পিঁড়িতে বা টেবিলে লুচির মতো বেলুন। চারপাশ থেকে ১ সেন্টিমিটার ছেড়ে ছুরি দিয়ে ৫-৬টি লম্বা দাগ কাটুন। এবার সাবধানে হালকাভাবে একধার থেকে সামান্য ভাঁজ করে মাঝখানে এনে একইভাবে অপর প্রান্ত থেকে সামান্য ভাঁজ করে মাঝখানে আরেকটি অংশ আনুন। দুটি অংশ হাত দিয়ে চেপে দিন। বেলুনির হাতলের মতো দুটি হাতল হবে। দেখতে অনেকটা চকলেটের মতো লাগবে।কড়াইয়ে তেল গরম করে হাতল ধরে গরম ডুবো তেলে ছাড়ুন। আঁচ কমিয়ে সোনালি রং করে ভেজে তেল ছেঁকে উঠিয়ে সরাসরি শিরায় ছাড়ুন। মিনিট খানেক শিরায় ডুবিয়ে রেখে প্লেটে সাজিয়ে ওপর থেকে সাদা তিল ছিটিয়ে দিন।
চিঁড়ার মোয়া
উপকরণ : চিঁড়া ২৫০ গ্রাম, আখের গুড় ২ কাপ, ভাজা চালের গুড়ো ২ টেবিল চামচ, নারকেল কোরা ১ কাপ, তেল ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি : চিঁড়া গরম করাইতে করা করে ভেজে নিতে হবে(তেল ছাড়া)। কড়াইয়ে গুড় দিয়ে তাতে সামান্য জল দিয়ে জ্বাল দিন। গুড়ে পাক ধরা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। গুড় আঠালো হলে তাতে ভাজা চিঁড়া, নারকেল ও চালের গুরো দিয়ে নাড়তে থাকুন। গুড় মিশে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। হাত ভিজিয়ে গোল আকার দিয়ে তৈরি করুন মজাদার চিঁড়ার মোয়া।
উপকরণ : চিঁড়া ২৫০ গ্রাম, আখের গুড় ২ কাপ, ভাজা চালের গুড়ো ২ টেবিল চামচ, নারকেল কোরা ১ কাপ, তেল ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি : চিঁড়া গরম করাইতে করা করে ভেজে নিতে হবে(তেল ছাড়া)। কড়াইয়ে গুড় দিয়ে তাতে সামান্য জল দিয়ে জ্বাল দিন। গুড়ে পাক ধরা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। গুড় আঠালো হলে তাতে ভাজা চিঁড়া, নারকেল ও চালের গুরো দিয়ে নাড়তে থাকুন। গুড় মিশে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। হাত ভিজিয়ে গোল আকার দিয়ে তৈরি করুন মজাদার চিঁড়ার মোয়া।